Header Ads

পদাতিক বাহিনী হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড।

সাহসী, বলিষ্ঠ, শক্তিশালী সৈনিক দিয়ে গঠিত পদাতিক বাহিনী। পায়ে হেঁটে হাতে অস্ত্র নিয়ে শত্রুর চোখে চোখ রেখে সরাসরি যুদ্ধ করেন এই পদাতিক বাহিনীর সৈনিকরা। 27 শে অক্টোবর হল পদাতিক দিবস। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীর ইতিহাস অত্যন্ত বিশেষ এবং রোমাঞ্চকর। স্বাধীনতার পরেই পদাতিক সেনাবাহিনী তাদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পেয়েছিল। বর্তমানে ভারতের পায়ে সেনার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় 12 লক্ষ 40 হাজারে। ফ্রন্টলাইনে থেকে দেশকে রক্ষা করে পদাতিক বাহিনী। 

1947 সালের অক্টোবর মাস।দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক মাস কেটে গেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সেই সময়ে শাসক ছিলেন মহারাজা হরি সিং।জিন্নাহর নজর কাশ্মীরের দিকে ছিল কারণ বিপুল মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং হরি সিংয়ের প্রত্যাখ্যানের পরে পাকিস্তান একটি বড় ধাক্কা খেয়েছিল। পাকিস্তান জোর করে কাশ্মীর দখল করার পরিকল্পনা করছিল। তার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পাকিস্তান কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের জন্য উপজাতি পাঠানদের প্রস্তুত করেছিল।1947 সালের 24 অক্টোবর সকালে উপজাতিদের একটি বাহিনী আক্রমণ করে।
মহারাজা হরি সিং ভারতকে কঠিন সময়ে স্মরণ করেছিলেন। তখন ভারতও সাহায্য করতে পিছপা হয়নি।মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে জে এন্ড কে সংহতকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পদাতিক দলকে দিল্লি থেকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই দিনেই শিখ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়ন শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে রোধ করতে অসাধারণ সাহস দেখিয়েছিল। পদাতিক সৈন্যদের লক্ষ ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকারী আক্রমণকারী উপজাতিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং তাদের কাছ থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করা। এটিই ছিল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সামরিক অভিযান।
আক্রমণকারী উপজাতিদের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার এবং তাদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পুরোপুরি সমর্থন ছিল। অ্যাবটাবাদ থেকে উপজাতিরা কাশ্মীর উপত্যকা আক্রমণ করেছিল।1947 সালের অক্টোবর ভারতীয় সৈনিকরা  কাশ্মীরকে উপজাতির খপ্পর থেকে মুক্তি দিয়েছিল। যেহেতু কেবল পদাতিকাই এই পুরো সামরিক অভিযানে অবদান রেখেছিল, তাই এই দিনটিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদাতিক সৈন্যদের সাহসিকতা ও সাহসের দিন হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কুমুন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নও 1947 সালের যুদ্ধে জড়িত ছিল। কুমোন রেজিমেন্ট হ'ল ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিক সম্মানিত রেজিমেন্ট। শ্রীনগর বিমানবন্দর সংরক্ষণের জন্য পরমবীর চক্রের সম্মানিত হয়েছিলেন যার ডি কোম্পানির প্রধান, মেজর সোমনাথ শর্মা। অর্থাৎ শর্মা ভারতের প্রথম পরমবীর চক্র বিজয়ী হন। 


1 comment:

Powered by Blogger.