Header Ads

জম্মু এয়ার ফোর্স স্টেশনে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পরে পূর্ব নৌ কমান্ড নৌ-অফিসার ইন-চার্জ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভারতীয় নৌবাহিনীর পরিধি থেকে 3 কিলোমিটারের মধ্যে এলাকাকে 'নো ফ্লাই জোন' হিসাবে ঘোষণা করেছে।

শুক্রবার একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে যে এই অঞ্চলগুলির মধ্যে সমস্ত ব্যক্তি এবং সিভিল এজেন্সিগুলিকে ড্রোন বা  বিমানবাহী যানবাহন (ইউএভি) সহ যে কোনও অপ্রচলিত বিমানীয় জিনিসপত্র (উএইভি) উড়তে নিষেধ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা উলঙ্ঘন করে তবে ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের এলাকায় বিমান ব ড্রোন বা  বিমানবাহী যানবাহন (ইউএভি) সহ যে কোনও অপ্রচলিত বিমানীয় জিনিসকে ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করবে। এই আদেশগুলি লঙ্ঘনকারী অপারেটরকে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক বিধানগুলির অধীনে চার্জ করা হবে।


                                            ছবি:  সুভেন্দু দাস

এই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আগে থেকে ডিরেক্টর-জেনারেল সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এর কাছ থেকে অনুমোদনের জন্য ডিজি স্কাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুমতি নিতে হবে এবং অনুমোদনের চিঠির একটি অনুলিপি সদর দফতর পূর্ব নেভাল কমান্ড (কমান্ড সিকিউরিটি অফিসার) এবং সংশ্লিষ্ট নেভাল স্টেশনে জমা দিতে হবে নির্ধারিত ফ্লাইং অপারেশনের এক সপ্তাহ আগে । অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Ministry) এবং ডিজিসিএ-র (DGCA) কাছে থেকে নিতে হবে অনুমতি।


অতএব এখন থেকে গার্ডেনরিচ, খিদিরপুর, দ্বিতীয় হুগলি ব্রীজের আশেপাশে ড্রোন জাতীয় উরন্ত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। নৌবাহিনীর মতে পশ্চিমবঙ্গের জলপথকে জঙ্গিরা যাতে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য নৌবাহিনী সব সময় তৈরি। গার্ডেনরিচে যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় সেক্ষেত্রে আটোসাটো নিরাপত্তা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা। 

 ইতিমধ্যেই ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের নৌ কমান্ড, রাজৌরি নৌবাহিনী স্টেশনে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

প্রাক্তন সামরিক বাহিনীর অধিকর্তা রমেশ দাস পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন ভারতীয় নৌবাহিনী বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তিগত ভাবে শক্তিশালী হয়েছে। অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম সামরিক বাহিনীর হাতে চলে এসেছে। তবু বিমান থেকে স্থলভাগ সবক্ষেত্রেই আরো নজরদারি প্রয়োজন। সাধারণ মানুষেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সচেতন করতে সামরিক বাহিনীকে জনসংযোগ বাড়াতে হবে বলে রমেশ দাস মনে করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের বিরাট অংশের দায়িত্বে নিযুক্ত আছে পদাতিক বাহিনী ও বিমান বাহিনী সেক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এই অঞ্চলগুলিতেও প্রয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.