Header Ads

যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের কাছে ধরা পড়লে মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে হবে মহিলা পাইলটদের বলে মনে করেন প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন রমেশ দাস।

ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিমান চালনা করছেন সাহসী মহিলারা। এই  মুহূর্তে যুদ্ধবিমান রাফায়েল চালাবেন এক মহিলা পাইলট। 
তুরস্কের সাবিহা গোকেন ছিলেন জাতীয় সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া প্রথম মহিলা পাইলট। তিনি যখন তার প্রথম মিশনে গিয়েছিলেন তখন তিনি কেবল 24 বছর বয়সী ছিলেন। কমব্যাট  যুদ্ধের ভূমিকায় নারীদের অসাধারণ গল্প রয়েছে। মহিলা যোদ্ধা পাইলটদের মানসিকও শারীরিক ভাবে প্রস্তুত করা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে যাবার ক্ষেত্রে। 
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহনা জিটারওয়াল, ফ্লাইট লেঃ অবানা চতুর্বেদী এবং ফ্লাইট লেঃ ভাওয়ানা কণথ হল ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম যোদ্ধা পাইলট। সম্প্রতি ফ্লাইট লেঃ শিবানী সিংকে আইএএফ দ্বারা প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট হিসাবে রাফালে বিমান উড়ানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে । ঘটনাচক্রে ফ্লাইট লেঃ গুঞ্জন সাক্সেনার সঙ্গে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শ্রীবিদ্য রাজন উভয় চিতা হেলিকপ্টার পাইলটই প্রথম মহিলা পাইলট যিনি যুদ্ধের অঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন যখন তারা 1999 সালের কার্গিল সংঘর্ষের সময় অংশ নিয়েছিলেন।

2006 সালে প্রথম মহিলা যোদ্ধা পাইলট ব্যাচ পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমান মিশন কমান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। ফ্লাইট টি লেঃ আয়েশা ফারুক প্রথম পাকিস্তানী যোদ্ধা পাইলট ছিলেন। ফ্লাইং অফিসার মরিয়ম মুখ্তিয়ার পাকিস্তানের প্রথম মহিলা যোদ্ধা পাইলট যিনি নভেম্বরে ২০১৫ সালে মারা গিয়েছিলেন  সেট ফাইটার এয়ারক্র্যাফট বিধ্বস্ত ফলে।

চীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা পাইলট রয়েছে।চীন.কম.সিএন-এর তথ্য অনুসারে, পিএলএ এয়ার ফোর্সের (পিএলএএফ) 455 জন মহিলা পাইলট রয়েছে।

শান্তির সময় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ অঞ্চলে যুদ্ধবিমান চালনা করা মহিলাদের পক্ষে নিরাপদ হলেও যুদ্ধের সময় সীমান্ত পেরিয়ে শত্রু দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ধরা পড়লে সেটা হয়ে পড়ে সাংঘাতিক ঘটনা। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন রমেশ দাস জানিয়েছেন  বিদেশী পরিবেশে যুদ্ধের সময় এটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।কারিগিল যুদ্ধ চলাকালীন স্কোয়াড্রন লিডার অজয় ​​আহুজাকে নির্মমভাবে পাকিস্তানে হত্যা করেছিল। এছাড়াও ডাব্লুজি সিডিআর অভিনন্দন ভারতমন ও ফ্লাইট লেঃ নচিকেতার সঙ্গে  যা ঘটেছিল তা জনগণের স্মৃতিতে এখনও তাজা।পুরুষ পাইলটদের উপর শত্রুপক্ষের নির্যাতন একটি দিক। পাইলট যদি মহিলা হয় তবে সেটা হবে আরো নির্মম। যদিও প্রশিক্ষণের সময় যোদ্ধা  পাইলটদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরী করা হয়। গ্রুপ ক্যাপ্টেন রমেশ দাসের মতে আমাদের নিজস্ব আকাশসীমায় মহিলাদের এডি (এয়ার ডিফেন্স) / সিএপি (কমব্যাট এয়ার প্যাট্রোল) মিশন তৈরি করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইস্রায়েলের মতো দেশগুলি শত্রু বিমানের স্থানের উপরে একক মিশনে মহিলা যোদ্ধা পাইলটদের মোতায়েন করে না।

No comments

Powered by Blogger.