Header Ads

বিএসএফ ০৩ টি খাঁচায় ১৭ টি বিদেশি প্রজাতির পাখি সহিত ০১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল।

পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানরা , ১৭ টি  বিদেশি প্রজাতির পাখির ০৩ টি খাঁচা সহ ০১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর, সেক্টর কৃষ্ণনগরের আওতাধীন ৮১ ব্যাটেলিয়ন এর সীমা চৌকি  রঙ্গিয়াপোতার জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে বিশেষ অভিযান চালায়। রাত্রি আনুমানিক  ১০টা ৩৫ মিঃ নাগাদ  জওয়ানরা  রঙ্গিয়াপোতা গ্রামে চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে  ঘটনাস্থলে পৌছেঁ দেখে,  গ্রামবাসীরা ০৩ টি খাঁচাতে থাকা ১৭ টি  বিদেশি প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাখি   সহ ০১ জন  বাংলাদেশি নাগরিককে ধরেছেন। বিএসএফ  ০৩ টি খাঁচাতে  বিদেশি প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাখি গুলি সহ   বাংলাদেশি নাগরিককে নিজ হেফাজতে নিয়ে   সীমা চৌকি রঙ্গিয়াপোতায় নিয়ে আসে। 

গ্রেপ্তার হওয়া চোরাকারবারির পরিচয়  আজমাত মুসারিফ, বয়স ৪৫ বছর , পুত্র  সর্গীয় অকশত  মুসারিফ, গ্রাম -কুল্লু  (জুগিরপাড়া), পোস্ট অফিস  - দামুড়হুদা, পুলিশ স্টেশন  - দামুরহুদা, জেলা - চৌডাঙ্গা, বাংলাদেশ। তার কাছ থেকে ১৭ টি বিদেশী প্রজাতির পাখি উদ্ধার করা হয়েছে যেগুলির বিবরণ নিম্নরুপঃ - 
     I) টৌকান ভেক্টর - ০২ টি 
     II)  আরাকারি টৌকান ভেক্টর - ০৫ টি 
     III) পাইয়েসফ্লাস ক্রিপ্টোক্সানথাস -১০ টি
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে   চোরাকারবারি জানিয়েছেন যে সে  রাঙ্গিয়াপোতা  গ্রামের কাছে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়েছিল ,  দুলু , গ্রাম - কার্পাসডাঙ্গা    এবং রবিউল গ্রাম - কুল্লু  (জুগিরপাড়া) নামে দু'জন দুর্বৃত্তের সঙ্গে।গ্রামবাসীরা  তাদের দেখে  তারা তাদের থামিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু  করে, সীমা চৌকি  রঙ্গিয়াপোতার সতর্কতামূলক টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাঁচাগুলি উদ্ধার করে বাংলাদেশি পাচারকারীকে ধরে ফেলে। সে  আরও জানিয়েছেন যে এই পাখির মালিক রবিউল গ্রাম -  কুলু তাদের সঙ্গে ছিল  তবে সে দুলুর সঙ্গে  পালাতে সক্ষম হয় এবং নিজে  কেবল একজন  শ্রমিক, সে এই কাজের  জন্য ৫০০০ / - টাকা পেত । সে এই খাঁচাগুলি পাখি গুলি সহিত   গোপাল বাগ, গ্রাম এলঙ্গি, পুলিশ স্টেশন -ভীমপুর, জেলা-নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে দিত। উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণী পাখি সহ  চোরাচালানকে আরও আইনি কার্যক্রমের জন্য পুলিশ স্টেশন  ভীমপুরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.